Header Ads Widget




 

কে হচ্ছেন মোগরাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান!

কে হচ্ছেন মোগরাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান! 




 

১৫ জুন সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া

ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে চলছে ভোটের  নানা সমীকরণ।  কে হচ্ছেন মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের পরবর্তী চেয়ারম্যান? এ নিয়ে পুরো ইউনিয়ন তথা সোনারগাঁ উপজেলা ও নারায়ণগঞ্জ জেলায়ও শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। মোগরাপাড়া ইউপি নির্বাচনে টানা দুইবারের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবুর নৌকার মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার মধ্য দিয়ে এখানে প্রথম নির্বাচনী নাটকীয়তার শুরু হয়। পরবর্তীতে বাবু উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মাঠে নামেন। 

অপরদিকে জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি শাহ মোহাম্মাদ সোহাগ রণি নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফ মাসুদ বাবু সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এডভোকেট সাজেদ আলী মিয়ার ছেলে  তিনি সোনারগাঁয়ের প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে  তার পরিবারের প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতাসহ ওই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের একটা বৃহৎ অংশ আরিফ মাসুদ বাবুর পক্ষে কাজ করছেন।  তাই আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়েও স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফ মাসুদ বাবু রয়েছেন সুবিধাজনক অবস্থানে। 

এ ইউনিয়নের ভোটাররা মনে করছেন আরিফ মাসুদ বাবুই জয়ের ক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন। এবার জয় দিয়ে তিনি হ্যাট্রিক জয় পূরন করবেন বলেও কেউ কেউ মতামত প্রকাশ করেছেন।

অপরদিকে নবীন প্রার্থী শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রণি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি। তিনি  আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে উপজেলা আওযামীলীগের সমর্থন পেলেও আওয়ালীলীগের অনেক নেতাই তার জন্য সেভাবে মাঠে নামেননি বলে অভিযোগ করেছেন সোহাগ রণি। ফলে এ নির্বাচন নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগে অভ্যন্তরিন ভাবে দুটি গ্রুপ তৈরি  হয়ে গেছে। ফলে ভোটের মাঠে সোহাগ রণি কিছুটা বেকায়দায় রয়েছেন। তবে সোহাগ সমর্থকরা দাবি করছেন যেহেতু সোহাগ রণি নতুন প্রার্থী তাই ইউনিয়নের উন্নয়নের জন্য ভোটাররা শেষ পর্যন্ত তাকেই বেছে নেবে।

এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ প্রার্থী শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রণি(নৌকা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফ মাসুদ বাবু’র ( আনারস) মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এ দুই প্রার্থী ছাড়াও মাঠে আছেন আরো তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থী এরা হলেন ইসলামী শাসন আন্দোলনের দেলোয়ার হোসেন (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুবুর রহমান রক্সি( ঘোড়া) ও মো. সুরুজ মিয়া( মোটর সাইকেল)।

ইউপি সদস্য পদে লড়ছেন ৪৩জন আর সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে আছেন ১০জন। ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আবুল হোসেন।

 এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২৪ হাজার ২শত ৩৪জন। ১২টি ভোট কেন্দ্রে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

Post a Comment

0 Comments