Header Ads Widget




 

মতলব সরকারি হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন দুই বছরেও ঠিক হয়নি, রোগীদের পাঠানো হচ্ছে বাহিরে

চ্যানেল ২১ টেলিভিশন:

মেহেদী হাসান শুভ

(চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি)

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র এক্স-রে মেশিন প্রায় দুই বছর যাবৎ বিকল। এতে সরকার নির্ধারিত খরচে এক্স-রের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা জনসাধারণ। ব্যক্তিমালিকানাধীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে এক্স-রে করতে বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে রোগীদের। মোবারক হোসেন, আব্দুল লতিফসহ বেশ কয়েকজন রোগী জানিয়েছেন, এর পরিমাণ আটশ’ থেকে নয়শ’ টাকা। অথচ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে করাতে সরকার নির্ধারিত ফি ৭০ টাকা। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ নুসরাত জাহান মিথেন জানান, এক্স-রে মেশিনটি মেরামত করতে বরাদ্দ চেয়ে দুই বছরে এ পর্যন্ত  মোট ৮বার চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে। মেশিনটি সচল করতে টেকনিশিয়ান চেয়ে দুই বছরে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ৮বার চিঠি পাঠানো হয়েছে। সর্বশেষ গত ২৩ জানুয়ারি মেশিনটি মেরামত করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে লিটন বৈদ্য নামের একজন টেকনিশিয়ান আসেন। তিনি ওই মেশিন ঠিক করতে কিছু খুচরা যন্ত্রপাতি কেনার পরামর্শ দেন। পরে যন্ত্রপাতি কেনার প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ চেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। এখন পর্যন্ত সে বরাদ্দ আসেনি। ২০১৫ সালে অ্যানালগ পদ্ধতির ওই এক্স-রে মেশিন বরাদ্দ দেয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। পরের বছর ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে এটি চালু হয়। কিন্তু ২০২০ সালের ২০ জুলাই থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত এক্স-রে মেশিনটি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, সেখানকার দোতলার একটি কক্ষ বাইরে থেকে তালাবদ্ধ। কক্ষটির ওপরে লাল অক্ষরে লেখা ‘এক্স-রে রুম’। দরজা খুলে দেখা যায়, এক্স-রে মেশিনটি প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। জমে আছে ধুলাবালু। কক্ষটির ভেতরের এক পাশে লাল রঙের কম্বলের স্তূপ, ভেতরে দুর্গন্ধ। বাইরে কিছু লোক এক্স-রে করাতে এসে ফিরে যাচ্ছেন। এক্স-রে মেশিনটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মেশিনটি ঠিক করার কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে না। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার চিঠি চালাচালি হয়েছে। টেকনেশিয়ান আসলেও প্রয়োজনীয় উপকরণ ও যন্ত্রপাতির অভাবে এখন পর্যন্ত এক্স-রে মেশিনটি সচল করা যাচ্ছে না। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাজীব কিশোর বণিক বলেন, এটি অল্প সময়েই সচল হবে। এ ছাড়া নতুন একটি ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনের বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। নতুন মেশিনটি এলে সমস্যার সমাধান হবে।

Post a Comment

0 Comments