Header Ads Widget




 

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে স্ত্রী মিতুর প্রতারণায় সর্বস্বান্ত স্বামী রবিউল আলম


মেহেদী হাসান শুভ

চাঁদপুর প্রতিনিধি 

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে স্ত্রী মিতুর প্রতারণা করে ব্যবসায়ী স্বামী রবিউল আলমের প্রায় বিশ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে,পাশাপাশি স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা ও বিভিন্ন হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।আর এ কারনে ভেঙে যাচ্ছে ১২ বছর ব্যবসায়ী রবিউল আলমের স্বপ্ন। 

মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার দেওয়ানঞ্জি কান্দী গ্রামের বাসিন্দা মৃত সাইজ উদ্দিনের ছেলে ব্যবসায়ী রবিউল আলমের স্ত্রী মিতু প্রতারণা করে প্রায় বিশ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এমনকি রবিউল আলমের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে। আবার গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে স্ত্রী মিতু ও তার আত্নীয় স্বজন। স্ত্রীর এমন ঘটনা দেখে দিশেহারা স্বামী।ভুক্তভোগী স্বামী রবিউল আলম ও তার স্বজনরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

স্ত্রীর এমন কার্যকলাপ দেখে স্বামী চাঁদপুর জেলা আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,২০১২ সালে এপ্রিল মাসে ইসলামিক শরীয়া মোতাবেক রবিউল আলম ও মিতু আক্তারের সাথে বিবাহ হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। 

দীর্ঘ ১০ বছরের সংসারে স্ত্রী মিতু বার বার বাহানা দিয়ে স্বামীর নিকট টাকা চাইতো। স্ত্রীর সুখের কথা চিন্তা করে ধার দেনা করেও টাকা দিতো। জায়গা কিনার জন্য স্ত্রী মিতুর কাছে টাকা জমা রেখেছিলেন। সেই টাকা চাইতেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মন মালিন্য শুরু হয়। স্ত্রী বিভিন্ন ছলচাতুরি শুরু করে।এমনকি পরকীয়ায় জরিয়ে পরেন মিতু।

স্ত্রীর বেপরোয়া জীবন যাপনের ফলে রবিউল আলম বাধ্য হয়ে ২৬শে এপ্রিল চাঁদপুর আদালত একটি অভিযোগ দাখিল করেন। 

রবিউল আলম জানান, আমার স্ত্রী মিতু যখন যা চাইতো আমি তা দিতাম। তার কোন দাবী আমি অপূর্ণ রাখতামনা। তারপরও মিতু সাতক্ষীরার পলাশপুর গ্রামের আব্দুর রকিবের ছেলে আব্দুর জব্বার উজ্জ্বল (সুমনের) সাথে পরকীয়ায় জরিয়ে পরে। এমনকি তারসাথে বাসা ভাড়া করে ঢাকায় বসবাস করে। জায়গা কিনার নামে যে ২০ লক্ষ টাকা জমা রেখেছিলেন সেই টাকা নিয়েই পালিয়ে যায় মিতু। আমার সারা জীবনের অর্জিত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।আমি এখন নিঃস্ব। ভেঙ্গে যাচ্ছে আমার জীবনের স্বপ্ন। আমি এ প্রতারণা সঠিক বিচার চাই।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, তাদের এ ঘটনা নিয়ে সামাজিক ভাবে সমাধান করার জন্য অনেকবার চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।রবিউল আলমের স্ত্রী ও তার পরিবার কারো কথাই শুনেনা।

মিতুদের গ্রামের প্রবীণ ব্যাক্তি হাজী রুহুল আমিন জানান,মিতু নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে রবিউল আলমের পুরো পরিবারটা সর্বস্বান্ত করে ফেলেছে।এমনকি বরিউলের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা করেছে বলে শুনেছি; যা সত্য নয়। সে তার অপকর্ম ঢাকার জন্য এ মামলার পথ বেছে নিয়েছে।আমরা গ্রামবাসী তাদেরকে সর্তক করে দিয়েছে যে এধরনের অপকর্মে লিপ্ত থাকলে সমাজে বসবাস করতে পারবেনা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রবিউল আলমের স্ত্রী মিতুর বক্তব্য জানতে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।

Post a Comment

0 Comments